এবার ইউরোপে চোখ সাবিনাদের
০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে সর্বোচ্চ আসর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে ধারাবাহিক ব্যর্থ লাল-সবুজের পুরুষ ফুটবলাররা। ঘরের মাঠে ২১ বছর আগে সাফের একমাত্র শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ পুরুষ জাতীয় দল। ২০০৩ সালে রজনী কান্ত বর্মণ, হাসান আল মামুন, আলফাজ আহমেদ, আমিনুল হকদের হাত ধরে ওই শিরোপা এলেও এরপর আর সাফল্য ধরা দেয়নি। তবে পুরুষদের পথে কিন্তু হাঁটেনি বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে তারা শুধু ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা জিতে ইতিহাসই গড়েনি, দেশের ফুটবল জাগরণে স্বপ্নসারথি হয়েছে। ২০২২ থেকে ২০২৪- সময়ের হিসেবে দুই বছরের ব্যবধান, অথচ সাবিনা খাতুনদের সাফল্যে কিন্তু একটুও ভাটা পড়েনি।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দুই শিরোপার মুকুট এখন শোভা পাচ্ছে লাল-সবুজ মেয়েদের মাথায়। তবে এই মেয়েদের অনেকেরই কিন্তু বাস্তব জীবনে মাথাগোজার ঠাঁই নাই। এবারের সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের সরকার প্রধানের কাছে সেই ঠাঁইটাই চাইবেন সাফজয়ী জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। গতকাল মতিঝিলের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমনটাই জানালেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে দেশে ফেরার পর আজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সংবর্ধনা পেতে তার সরকারী বাসভবন যমুনায় যাবেন সাবিনারা। সেখানেই নাকি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্লট ব ফ্ল্যাট চাইবেন বলে জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক। সাবিনা বলেন,‘আমার দলের মেয়েরা খুবই নিম্মবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছে। কিছু দিন আগে দেশে যে বন্যা হয়েছে, সেই বন্যায় অনেকের পরিবারের বাসায় পানি উঠে গেছে। সবচাইতে দু:খজনক বিষয় হচ্ছে পরিবারের মানুষরা যখন বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে তখন সত্যি বলতে তাদের থাকার কোনো যায়গা থাকে না। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করবো যেন মেয়েদেরকে কোনো প্লট বা ফ্লাট দেন। সেটাই হবে মেয়েদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সবচাইতে বড় উপহার।’
এবারের সাফে অংশ নিতে গিয়ে প্রায় ১৬ দিন নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর বিলাসবহুল হোটেল সোলটিতে অবস্থান করেন সাবিনারা। সেখানে দেশি খাবার পাননি বলেই চলে। তাই সাফ মিশন শেষে বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে ফিরে দেশি খাবার ভর্তা দিয়ে পেট পুড়ে ভাত খেয়েছেন তারা। এ প্রসঙ্গে নারী দলের অধিনায়ক বলেন, ‘আজকে (গতকাল) দুপুরে আমরা অনেক রকম ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়েছি। মেয়েরা অনেকদিন দেশের বাইরে ছিল। তাদের চাওয়া ছিল ভর্তা দিয়ে খাবে। তাই আমরা ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়েছি। প্রায় ১২-১৪ রকমের ভর্তা ছিল। অনেক দিন পর পেট পুড়ে খেলাম।’
টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতা টুর্নামেন্টের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাবিনা বলেন,‘আমি মেয়েদের উপর আত্মবিশ্বাসি ছিলাম। আমি তাদের খুব ভালোভাবেই চিনি। তাদের পারফরম্যান্স সম্পর্কে জানি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পর পরিস্থিতি আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচটা ড্র হওয়ার পরে আমাদের সামনে এমন সমীকরণ দাড়িয়েছিল যে, বাকি ম্যাচে আমাদের গোল কম হজম করতে হবে। যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে চাই তবে আমাদের জিততে হবে। সবার মাথায় সেটা ছিল। সবাই মোটিভেটেড ছিল। পাশাপাশি চেষ্টা করেছি দলটাকে চাঙ্গা রাখার।’
দুইবার সাফের শিরোপা জেতার পর এবার লক্ষ্যটা আরও উঁচুতে বাংলাদেশ দলের মেয়েদের। নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘এখন আর পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। এখন সময়ে এসেছে মেয়েদের দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে নিজেদের নিয়ে যাওয়ার। পাকিস্তানের অধিনায়কের (মারিয়া) সঙ্গে আমার বেশ ভালো সম্পর্ক। সে আমাকে বলেছে যে, তোমরা ইউরোপের ক্লাবে খেলার যোগ্য। তোমাদের মধ্যে অনেক খেলোয়াড় রয়েছে যারা ইউরোপের ক্লাবে খেলার যোগ্যতা রাখে। এই বিষয়ে বাফুফে কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। যেন তারা এই বিষয়ের প্রতি নজর রাখেন।’
অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ব্রিটিশ কোচ পিটার জেমস বাটলার। তাই দেশে ফিরেই মেয়েদের কোচের দায়িত্ব ছেড়েছেন। তাহলে কি ফের গোলাম রব্বানী ছোটনকেই চাইছেন সাবিনারা? এমন প্রশ্নে অধিনায়কের উত্তর, ‘এটা আসলে বাফুফের বিষয়। তবে তিনি ( (গোলাম রব্বানী ছোটন) অনেক দিন আমাদের কোচ ছিলেন, উনার অনেক সাফল্য রয়েছে। তিনি ফিরে আসলে এটা অবশ্যই আমি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখব।’
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আগামী মৌসুমে নেইমারের গন্তব্য কোথায়?
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরি
কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি
তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই
সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন
শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু
কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ
দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা
গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই
বন্য হাতি হামলা
পলো বাওয়া উৎসব
গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ
কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে
গারো পাহাড়ে কলার আবাদ
সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ
ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা
স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে
অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে